নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
“বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে দেশের স্বাধীনতা মেনে নিয়েই করতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শুধু ভুল বোঝাবুঝির জন্য বাংলাদেশ আলাদা হয়েছে এ ধরনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়,” বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫ টায় সিরাজগঞ্জ শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে জামে মসজিদের সামনে আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ জনসভাটি আয়োজিত হয় ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে’। টুকু বলেন, “পাকিস্তান আমাদের শোষণ করেছে, শাসন করেছে। সেই শোষণের বিরুদ্ধেই এ দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে। এ যুদ্ধই আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। ইতিহাস বিকৃত করে দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো চলবে না। একটি দেশ একবারই স্বাধীন হয়।
তিনি আরও বলেন, “যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন, তারা যেন আল্লাহর নাম নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য না দেন। মুনাফেকি না করে স্পষ্টভাবে সত্য কথা বলুন। কিছুদিন আগে মোটা টাকা খরচ করে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে, যার মলাটে লেখা হয়েছে ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ তার মানে কি আপনারা বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতায় ছিলেন না? আমি টুকু পরিষ্কার করে বলতে চাই একটা দেশে স্বাধীনতা একবার হয়। যে স্বাধীনতা যুদ্ধ আমাদেরকে মানচিত্র দিয়েছে ; যে স্বাধীনতা আমাদেরকে পতাকা দিয়েছে, যে স্বাধীনতা যুদ্ধ আমাদেরকে শাসনতন্ত্র দিয়েছে। সেই স্বাধীনতা একবারই হয়েছে। আর জুলাই যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সেই গণতন্ত্র নতুন করে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে যে রাক্ষুসে ছিলো সেই রাক্ষুস মুক্ত করা হয়েছে। যে রাক্ষুসের যেখানে জম্ম সেখানে পাঠানো হয়েছে। সুতরাং আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সাথে গোলাবেন না। দয়া করে স্বাধীনতার সাথে মিলাবেন না।
সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান বাচ্চু। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, অমর কৃষ্ণ দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর কায়েম, ভিপি শামীম, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ, মির্জা মোস্তফা জামান, জেলা যুবদলের সভাপতি আল-আমিন, সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, সদস্য সচিব মিলন হক রঞ্জু, ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ প্রমুখ।
