গত জুলাই-আগস্ট মাসে ঢাকার তারকা হোটেলগুলো বড় ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়ে। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে হোটেলগুলো প্রায় অতিথিশূন্য হয়ে যায়। সামাজিক অনুষ্ঠান ও করপোরেট আয়োজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, যা এই ক্ষতির অন্যতম কারণ।
গত আড়াই মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও হোটেলগুলোর ব্যবসা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। চলতি মাসেও অধিকাংশ হোটেলের ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ ফাঁকা রয়েছে।
রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেলের ব্যবস্থাপক আল আমিন জানান, আগস্টে হোটেলের ব্যবসা ১৫ শতাংশে নেমে এসেছিল। সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা বেড়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে স্বাভাবিক সময়ে এই হোটেলের ৭০-৭৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং থাকে।
লে মেরিডিয়ান হোটেলের ব্যবসাও গত কয়েক মাসে ধাক্কা খেয়েছে। বর্তমানে ৪০-৪৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং থাকছে, যা মূলত এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানের অতিথিদের ওপর নির্ভর করছে।
সোনারগাঁও হোটেলের বুকিং হার আগস্টে ২০-২৫ শতাংশে নেমে গেলেও বর্তমানে তা ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় এই হোটেলের সভা-সেমিনার কিছুটা বেড়েছে।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বুকিংয়ের হার এখনো অনেক কম। সাধারণত বছরের এই সময়ে ৭২-৭৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং থাকলেও বর্তমানে তা ৩০-৩৫ শতাংশে রয়েছে।
ওয়েস্টিন ও শেরাটন হোটেলের ব্যবসাও একই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ওয়েস্টিনের বুকিং আগস্টে ১০ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল, যা বর্তমানে ৩০-৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং শিল্পখাতে স্থবিরতার কারণে তারকা হোটেলগুলোর অতিথি সংখ্যা বাড়ছে না। তবে নভেম্বরে ব্যবসা কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।