ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প সরাসরি ফেড বিলুপ্ত করার পক্ষে কথা বলেননি, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা পরিবর্তনের পক্ষে তার অবস্থান অর্থনীতিবিদদের উদ্বিগ্ন করেছে। তিনি মনে করেন, ফেডের নিয়ম পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য কার্যকর হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইলন মাস্ক, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ফেড বিলুপ্তির আহ্বান জানানোর একটি পোস্টে সমর্থন জানিয়েছেন। রিপাবলিকান সিনেটর মাইক লি ফেডারেল রিজার্ভ বিলুপ্ত করে এর দায়িত্ব ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টে হস্তান্তরের প্রস্তাব করেছেন। ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের নির্দেশে পদত্যাগ করবেন না।
সাবেক কংগ্রেসম্যান রন পলের ‘এন্ড দ্য ফেড’ আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৩ সালে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের বিল পর্যন্ত ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তবে ট্রাম্পের প্রশাসন ফেডের কার্যক্রমে কী ধরনের পরিবর্তন আনবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ফেডের স্বাধীনতা মার্কিন অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে ফেড রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এড়িয়ে নীতিমালা নির্ধারণ করে এসেছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ এই ধারাবাহিকতায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েলকে অপসারণের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে আইন অনুযায়ী, ফেড চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ’ থাকা আবশ্যক। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নীতিগত অমিলের কারণে ফেড কর্মকর্তাকে অপসারণ করা সম্ভব নয়।
সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান কাঠামো ফেডের স্বাধীনতার পক্ষে হলেও ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকদের উপস্থিতি ভবিষ্যতে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ তৈরি করতে পারে। ফেড বিলুপ্তির মতো চরম পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা নির্ভর করবে প্রশাসনের ভবিষ্যৎ অবস্থানের ওপর।