অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বছরের মাঝামাঝি কমার ধারা শ্লথ হওয়ার পর টানা চতুর্থ মাসের মতো ভোক্তামূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব লেবারের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে মূল্যসূচক শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বার্ষিক হিসাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশে।
মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান ধারা মার্কিন ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে, যা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছেন। ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিমালার প্রস্তাব, যেমন কর হ্রাস ও আমদানি পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা।
অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে বহিষ্কার করার কর্মসূচি শ্রমিক সংকট তৈরি করবে, যা ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে ভোক্তাদের ওপর চাপ তৈরি করবে। এর ফলে অর্থনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে।
আগামী ডিসেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকলেও পরবর্তী বছরে এ হার কমানোর সুযোগ সীমিত হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ইতোমধ্যে ফেড সুদের হার ২৫ ভিত্তি পয়েন্ট কমিয়ে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশে এনেছে। তবে মূল্যস্ফীতি এখনও ফেডের লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশের ওপরে রয়ে গেছে।
২০২২ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছিল। সেখান থেকে হার কমলেও অক্টোবরের এই ঊর্ধ্বগতি অর্থনীতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি ও কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।