শুক্রবার
২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫
১০ই মাঘ, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও যুক্তরাজ্যের রপ্তানি ঝুঁকি

Fresh News রিপোর্ট
নভেম্বর ১৬, ২০২৪
৯:১৬ পূর্বাহ্ণ

ফ্রেশ নিউজ ডেস্ক:

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা। সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ট্রেড পলিসির (সিআইটিপি) গবেষকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার সীমিত হলে যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক রপ্তানি ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমতে পারে।

ট্রাম্প নির্বাচনী ইশতেহারে আমদানি করা পণ্যে ২০ শতাংশ সাধারণ শুল্ক এবং চীনের পণ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার করেছিলেন। এর বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি থেকে প্রায় ২২ বিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাজ্যের জিডিপি বার্ষিক শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ কমতে পারে। মৎস্য, পেট্রোলিয়াম, খননশিল্প, ওষুধ এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের মতো খাতে রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। এমনকি সরাসরি রপ্তানি না করা প্রতিষ্ঠান যেমন পরিবহন সেবা ও বিমা খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তবে চীনের রপ্তানি কমে গেলে কিছু খাতে যুক্তরাজ্যের জন্য সুযোগ তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে বস্ত্র ও পোশাক খাতে প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যের রপ্তানি বাড়তে পারে।

ট্রাম্পের শীর্ষ বাণিজ্য উপদেষ্টা রবার্ট লাইথিজার এই শুল্কনীতির দৃঢ় সমর্থক। যদিও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ক্ষতি করার সিদ্ধান্ত তাদের দীর্ঘমেয়াদে কোনো লাভ করবে না।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করেছে, শুল্ক আরোপ ও বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব যদি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং অর্থনীতির সংকোচন হতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতির এই সংকোচন ৭ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, যা ফ্রান্স ও জার্মানির সম্মিলিত জিডিপির সমান।

যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর মুক্তবাণিজ্যের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তবে বাড়তি শুল্ক থেকে বাঁচতে হয়তো যুক্তরাজ্যকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পার্শ্ব চুক্তি করতে হবে। একই সঙ্গে অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে বোঝাতে হবে যে এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।