ফ্রেশ নিউজ ডেস্ক:
মানুষের প্রাচুর্য বেড়েছে, কিন্তু কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টি কমে গেছে। অধিকাংশ মানুষ প্রাপ্তির জন্য কৃতজ্ঞ না হয়ে অপ্রাপ্তির জন্য হাহাকার করে। অথচ কৃতজ্ঞ হৃদয়েই সুখের মূল। আল্লাহ বলেন, কৃতজ্ঞ হলে নেয়ামত বাড়িয়ে দেন, আর অকৃতজ্ঞ হলে কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন (সুরা ইবরাহিম: ৭)।
মুমিনের অন্যতম গুণ কৃতজ্ঞতা ও তকদিরে বিশ্বাস। ভালো-মন্দ উভয় পরিস্থিতিতেই মুমিন কল্যাণ খুঁজে পায়। হাদিসে এসেছে, সুখে শুকরিয়া এবং বিপদে সবর করলে মুমিনের জন্য সওয়াব হয় (মুসলিম: ২৯৯৯)। তাই মুমিন সুখে-দুঃখে পরকালের পুঁজি সংগ্রহের প্রতি মনোযোগী থাকে।
অকৃতজ্ঞতার অভ্যাস আমাদের সৃষ্টিকর্তার নেয়ামতকে ছোট করে দেখায়। অথচ আল্লাহর নেয়ামত এত বেশি যে তা গুনে শেষ করা সম্ভব নয় (সুরা ইবরাহিম: ৩৪)। নবীজির (সা.) জীবন কৃতজ্ঞতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি সর্বোচ্চ ইবাদত করতেন, যদিও তার সব গুনাহ মাফ হয়ে গিয়েছিল।
আল Quran ও হাদিসে হালাল উপার্জনের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, সালাত শেষে জীবিকার অন্বেষণে বের হও (সুরা জুমা: ১০)। হালাল উপার্জন শুধু সংসারের শান্তির জন্যই নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
সুখী হতে হলে কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। কৃতজ্ঞ মানুষ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর নেয়ামত অনুভব করে। এমন মানুষই প্রকৃত মুমিন, যার জীবনে আল্লাহর রহমত, শান্তি, এবং নেয়ামত পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান থাকে।