শিশুর জন্মের পর সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা ইসলামী ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক। নবজাতকের নাম নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। ইসলামী সংস্কৃতি অনুযায়ী নামের অর্থ এবং এর প্রভাব ব্যক্তির স্বভাব-চরিত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
নবজাতকের নাম রাখার নির্দেশনা:
- সুন্দর অর্থবোধক নাম: নামের অর্থ অর্থবোধক ও সুন্দর হওয়া জরুরি। কারণ এটি ব্যক্তির চরিত্র ও জীবনধারায় প্রভাব ফেলে।
- আল্লাহর প্রিয় নাম: রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হলো আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান।
- নবীদের নামে নাম রাখা: যেকোনো নবীর নামে নাম রাখা উত্তম, কারণ তাঁরা আল্লাহর মনোনীত বান্দা।
নাম রাখার সময়:
- শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই নাম রাখা।
- জন্মের তৃতীয় দিনে নাম রাখা।
- সপ্তম দিনে নাম রাখা।
উত্তম নামের গুরুত্ব: রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালো নাম শুনে আশাবাদী হতেন। হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় ‘সুহাইল’ নাম শুনে তিনি সহজ সমাধানের আশা প্রকাশ করেছিলেন।
নামের উদাহরণ:
- আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান: আল্লাহর দাসত্বের প্রতীক।
- নবী ইব্রাহিম, নূহ, ইউসুফ প্রমুখ নবীদের নাম।
মুসলিম ঐতিহ্য অনুসারে সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখা শিশুর প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যা তার জীবনের শুরুতেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।