জ্যামাইকা টেস্টে দ্বিতীয় দিনটি পুরোপুরি বোলারদের দখলে ছিল। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে পেসারদের তোপে রানখরা এতটাই প্রকট ছিল যে পুরো দিনে রান হয়েছে মাত্র ১৬৫। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেইডেন সেইলস তার দুর্দান্ত বোলিং দিয়ে দ্বিতীয় দিনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। বাংলাদেশের মিডল ও লোয়ার অর্ডার ধসিয়ে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে কিপ্টে বোলিংয়ের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
সেইলসের বোলিং স্পেলে ছিল ৮.৫ ওভার, ১০টি মেইডেন, ৪ উইকেট, এবং দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। তার ইকোনমি ছিল ০.৩১৬—একবিংশ শতাব্দীর টেস্টে এটি সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল স্পেল। এর আগে ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উমেশ যাদবের ০.৪২৯ ইকোনমি ছিল এই রেকর্ড।
প্রথম দিনে ৭ ওভারে ৬টি মেইডেন দেওয়া সেইলস দ্বিতীয় দিনে লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ এবং নাহিদ রানাকে আউট করে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন।
টেস্ট ইতিহাসে এই বোলিং ফিগার তুলনামূলক পিছিয়ে আছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ভারতের রমেশচন্দ্র নাদকার্নি, যিনি ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ ওভারে ২৭ মেইডেন দিয়ে মাত্র ৫ রান দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সেইলসের স্বদেশি স্যার গ্যারি সোবার্স, যিনি ১৯৫৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ ওভারে ১১টি মেইডেন দিয়েছেন।
বাংলাদেশের জন্য দিনটি ছিল হতাশাজনক। রানখরার পাশাপাশি তাদের জন্য প্রাপ্তি ছিল মাত্র একটি উইকেট। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে পারেননি কেউ।