নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ-৫, বেলকুচি- এনায়েতপুর ও চৌহালী আসন থেকে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) আমিরুল ইসলাম খান আলীমের প্রচেষ্টায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২লেনে সড়ক সম্প্রসারণের অনুমোদিত হয়।
সিরাজগঞ্জ-বেলকুচি, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প এবং দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের প্রসার, সিরাজগঞ্জ-পাবনা সড়ক যোগাযোগ তথা ঢাকা-পাবনার দূরত্ব প্রায় ৩৬.০০ কিলোমিটার হ্রাস এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী জেলাসমুহের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে সয়দাবাদ (সিরাজগঞ্জ) এনায়েতপুর- কৈজুরী-চরবর্ণিয়া এবং বেড়া-সাঁথিয়া-মাধপুর (পাবনা) পর্যন্ত (সাঁথিয়া বাজারের পার্শ্ববর্তী বাইপাস সড়কাংশের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে শ্রেয়তর এলাইনমেন্টকে অন্তর্ভুক্ত করে ডিপিপি পুনর্গঠনপূর্বক) সড়ক বাস্তবায়ন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।
আর্থ-সামাজিক দিক থেকে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সয়দাবাদ (সিরাজগঞ্জ) এনায়েতপুর কৈজুরী- চরবর্ণিয়া- বেড়া-সাঁথিয়া- মাধপুর (পাবনা) সড়কের মধ্যবর্তী গুমানি নদীর উপর সেতু নির্মাণ নির্মাণ করে সেতুর উভয় পার্শ্বের সংযোগ সড়ক অর্থ্যাৎ চরবর্ণিয়া ও বেড়া অংশ সংযোগ স্থাপন হবে।
বেড়া-নাকালিয়া-নগরবাড়ি-বাঁধেরহাট (পাবনা ইকোনমিক জোন সংযোগসহ) সড়ক (আর-৫০৭) ও সয়দাবাদ (সিরাজগঞ্জ)-এনায়েতপুর- কৈজুরী-চরবর্ণিয়া-বেড়া-সাঁথিয়া-মাধপুর (পাবনা) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প” শীর্ষক নতুন অননুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্পটি গ্রহণের যৌক্তিকতা, ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি, ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা, রিজিড পেভমেন্ট, ইন্টারসেকশন, পিসি গাডার ব্রীজ নির্মাণ, আর সি সি বক্স কালভার্ট, ড্রেন নির্মাণ, রক্ষাপ্রদ কাজ, রোড ফারনিচার কাজ, বনায়ন ও গ্যাস সোডিং, ইউটিলিটি শিফটিং পর্যালোচনা এবং প্রকল্প এলাকায় Stakeholder Discussion হয়েছে কিনা তা যাচাইয়ের নিমিত্ত সিরাজগঞ্জ জেলার সয়দাবাদ (সিরাজগঞ্জ)-এনায়েতপুর- কৈজুরী-চরবর্ণিয়া-বেড়া-সাঁথিয়া-মাধপুর (পাবনা) সড়ক এবং পাবনা জেলার বেড়া- নাকালিয়া-নগরবাড়ি-বাঁধেরহাট (পাবনা ইকোনমিক জোন সংযোগসহ) সড়ক (আর-৫০৭) এ বিভাগ হতে গঠিত মনিটরিং টিম ০৯ কর্তৃক গত ২১-২২ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ সরেজমিনে পরির্দশন করা হয়।
সড়কটি নির্মাণ করলে ঢাকা হতে পাবনা তথা সিরাজগঞ্জ হতে পাবনার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৩৬.০০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে এবং কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর এবং খুলনা জেলার যানবাহন এই সড়ক ব্যবহার করে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত করতে পারবে এবং এটি যমুনা সেতু-হাটিকুমরুল মোড়-বনপাড়া মহাসড়কের বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ও মনিটরিং টিম ০৯ এর সদস্য সহকারী সচিব জসিম উদ্দিন, সেতু পিরিয়াডিক মেইনটেন্যান্স বিভাগ ঢাকা ও মনিটরিং টিম ০৯ এর সদস্য, সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ও মনিটরিং টিম প্রধান ও যুগ্ম সচিব নাজনীন ওয়ারেস সড়ক সম্প্রসারণের সুপারিশ করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জ জেলার সয়দাবাদ নামক স্থান হতে সোজা দক্ষিণমুখী একটি সড়ক বেলকুচি এনায়েতপুর উপজেলাকে যুক্ত করেছে। সড়কটি শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী নামক স্থান হতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বাঁধের উপর দিয়ে শাহজাদপুর উপজেলার চর বর্ণিয়া হয়ে পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা সদর তথা জাতীয় মহাসড়ক এন-৫ কে যুক্ত করেছে। বেড়া হতে সাঁথিয়া হয়ে মাধপুর নামক স্থানে পাবনা সড়ক বিভাগের একটি জেলা সড়ক (জেড-৬০২৩) হয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৬) এর সাথে মিলিত হয়েছে। সে হিসেবে “সয়দাবাদ (সিরাজগঞ্জ)-এনায়েতপুর-কৈজুরী-চর বর্ণিয়া-বেড়া-সাঁথিয়া-মাধপুর (পাবনা)” একটি ব্লট বিবেচনা করে তা ২-লেনে উন্নীত করা হলে ঢাকা হতে পাবনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনাগামী যানবাহনসমূহ এই রুট ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে ও স্বল্প দূরত্বে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে পারবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বেলকুচি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা স্থানীয় তাঁতশিল্প ও দুগ্ধজাত শিল্পের প্রসারে সড়কটির গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রকল্পটি অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বিধায় প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া জানান, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি – এনায়েতপুর, শাহজাদপুর-পাবনার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প এবং দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের প্রসারের জন্য এ সড়কটি নির্মাণের ব্যাপক উপযোগিতা রয়েছে।
আমিরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, সড়ক সম্প্রসারণের ফলে বেলকুচি এনায়েতপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর সহ পাবনাবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, তাঁতশিল্পের উন্নয়ন, কৃষি খাতে উন্নয়ন, ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার সহ সার্বিক উন্নয়ন হবে। এই রুট ব্যবহার করলে সিরাজগঞ্জ-পাবনা তথা ঢাকা-পাবনার দূরত্ব প্রায় ৩৬.০০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে।