হঠাৎ বেড়েছে শীতের প্রকোপ, যা শীতজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ঠান্ডা এবং শুষ্ক পরিবেশে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, কাশি, জ্বর, চর্মরোগসহ বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্র সম্পর্কিত সমস্যা বাড়ছে। শীতের সময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে গিয়ে জীবাণুরা ফুসফুসে প্রবেশ করতে পারে এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া বায়ুদূষণও শ্বাসকষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যায়।
বিশেষত শীতে শিশু এবং বয়স্কদের নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সতর্ক থাকতে হবে এবং কুসুম গরম পানি পান করতে হবে। শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই নিয়মিতভাবে লোশন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়া যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানি আছে, তাদের শীতকালে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। শীতে বাইরে বের হওয়ার সময় মুখ ও নাক ভালোমতো ঢেকে বা মাস্ক পরে বের হওয়া উচিত।
শীতে সুস্থ থাকতে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো, স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি।