ফ্রেশ নিউজ ডেস্ক:
টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সোহানা সাবা একটা সময় বেশ কয়েকটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত সিনেমায় অভিনয় করেন। কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি তিনি। তাই অভিনয়ে এখন অনেকটাই অনিয়মিত এই মডেল-অভিনেত্রী।
মাঝখানে তাকে উপস্থাপনা ও রিয়ালিটি শোর বিচারক হিসেবেও দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়া তিনি কলকাতার সিনেমায় স্থায়ী হওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। তবে অনেকদিন পর একটি খুশির খবর দিলেন সোহানা সাবা।
শুক্রবার থেকে ভারতের জয়পুরে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসব। উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সোহানা সাবা। সেখান থেকে ফিরে তিনি বলেন জয়পুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর “জুরি” হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি আমি।
বৃহন্নলা‘য় অভিনয়ের জন্য ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে জয়পুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার পাই। তারপর থেকে প্রতিবছর এই ফেস্টিভ্যালের জুরি হওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্যস্ততা ও পারিপার্শ্বিক কারণে এত দিন অংশ নিতে পারিনি।
গত বছর আগস্ট মাসে আমাকে প্রপোজাল দেওয়া হলো জুরি হতে, আমি আর না করিনি। এবার জয়পুর উৎসবে ৪৮টি দেশের ২৪০টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। তবে সেখানে নেই বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
বিচারকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আগামীকাল ২০ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড সিনেমা অ্যান্ড উইমেন ফিল্ম মেকারস শিরোনামের একটি সেমিনারে অংশ নেবেন সোহানা সাবা। সেখানে সিনেমা নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
এছাড়া সেমিনারে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা নিরা জাভেরি এবং স্পেনের নির্মাতা অ্যানটোনিও রদ্রিগেজ কাবাল। সোহানা সাবার শুরুটা হয়েছিল নাচ দিয়ে। তবে নাটক ও সিনেমায় ভিন্ন মাত্রার চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তাও পেয়েছেন।
বিগত সরকারের আমলে নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। বিশেষ করে “আলো আসবেই” নামের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে আওয়ামীপন্থি শিল্পী হিসেবে নাম ওঠে তার। সেখানে যাদের সবার ভূমিকা ছিল জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্রদের বিপক্ষে থেকে নানান নীল নকশার ছক আঁকা।