ফ্রেশ নিউজ ডেস্ক:
এপার-ওপার দুই বাংলারই জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢালিউড থেকে টলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি বলিউডেও পা রেখেছেন। কাজ বা ব্যক্তিগত জীবন সবটা নিয়েই অভিনেত্রী থাকেন চর্চায়।
বর্তমানে তাকে ওপার বাংলার আদিবাসীদের ওপর হামলা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এরই মাঝে আমচাকই পোষ্যকে নিয়ে ছুটলেন চিকিৎসকের কাছে তিনি ও তার পোষ্য নাকি ভুগছেন একই অসুখে হঠাৎ কী হলো নায়িকার।
রোববার দুপুরে একটি ভিডিও পোস্ট করেন জয়া আহসান। সেখানে দেখা যায় নিজেকে ও পোষ্যকে গরম পোশাকে ঢেকে গাড়িতে করে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। তার পরনে কালো জ্যাকেটি, ডেনিম এবং মাথায় কমলা রঙের টুপি।
অন্যদিকে নায়িকা তার পোষ্যকে পরিয়ে ছিলেন একটি সবুজ রঙের জ্যাকেট। পোষ্যকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছেন। ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন আমার বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য জিমির সঙ্গে আলাপ করুন। আমরা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি কারণ আমাদের দুজনেরই ঠাণ্ডা লেগে গেছে ।
জয়া আহসানের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা নানা কমেন্টে ভরে দিয়েছেন। এই শীতের মৌসুমে এখন ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি। একজন অনুরাগী লিখেছেন তোমাদের দুজনকেই সুন্দর লাগছে। জানো আমারও অবস্থা তোমাদের মতো। সর্দি-কাশি, কান-নাক সব বন্ধ কিন্তু তবুও পার্টি করছি। তোমরা দুজন নিজের স্বাস্থ্যের খুব যত্ন নাও। একজন অভিনেত্রী দেশি কুকুরকে অ্যাডপ্ট করেছেন বলে তাকে সাধুবাদ জানিয়ে লিখেছেন অনেক ধন্যবাদ দেশি কুকুর অ্যাডপ্ট করার জন্য।
জয়া বহু দর্শকের প্রিয় অভিনেত্রী হলেও তাকে অনেক সময়ই নানান কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। কিছুদিন আগে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়িতে মর্ডাণ টুইস্ট দিতেই জয়ার উপর চটেছিল তার দেশের মানুষরা।
মুম্বাইয়ের এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন জয়া। সেখানে একেবারেই অন্যভাবে জামদানি শাড়ি পরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন নায়িকা। ধুতি স্টাইলে শাড়িটি পরেছিলেন তিনি। এইসবের পরও দেশের মানুষের পাশেই জয়া। নতুন বছরের শুরতেই নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ।
আক্রান্ত হন ওপার বাংলার আদিবাসীরা। পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আদিবাসী ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন জয়া আহসান।