দেশে প্রথম এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটার পর বিশেষ সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ, সিওপিডি (দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি), অ্যাজমা ও ক্যান্সারের মতো যেসব জটিল রোগী আছেন, তাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, একাধিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া এই রোগ শনাক্তের জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন নেই এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা, পর্যাপ্ত তরল ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রোগটি ভালো হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত ‘ইমার্জিং ট্রেন্ডস হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস: এ নিউ থ্রেট টু বাংলাদেশ?’ শীর্ষক সেমিনারে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদসহ চিকিৎসকরা এ ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
এছাড়া, ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী এবং ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত জানান, এইচএমপিভি ভাইরাস মানুষের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায় এবং এটি মারাত্মক না হলেও ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ বা অন্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ, গলাব্যথা, চামড়ায় র্যাশ এবং কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। সাধারণত শীতকাল ও বসন্তকালে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয় এবং সঠিক নিয়ম মেনে চললে রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।