বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে জরায়ুমুখ ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার। তবে নিয়মিত পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে এই দুটি মরণব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব, বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কোষাধ্যক্ষ ও প্রখ্যাত গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার।
এছাড়া তিনি জানিয়েছেন, দেরিতে রোগ শনাক্ত হলে সঠিক চিকিৎসা দিতে সমস্যা হয়, ফলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। তিনি বলেন, স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুমুখ ক্যান্সারের পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্তন ক্যান্সারের জন্য সিবিই এবং জরায়ুমুখ ক্যান্সারের জন্য ভায়া টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী নারীদের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার চতুর্থ এবং স্তন ক্যান্সার শীর্ষস্থানীয় ক্যান্সার হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ হাজার ২৬৮ জন নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ৪ হাজার ৯৭১ জন নারীর মৃত্যু হয়। স্তন ক্যান্সারে প্রতি বছর নতুনভাবে আক্রান্ত হন প্রায় ১৩ হাজার ২৮ জন এবং ৬ হাজার ৭৮৩ জন মারা যান।
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা দিলে এই ক্যান্সারগুলি থেকে মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব। তবে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রেই ক্যান্সারের চিকিৎসা সুবিধা সীমিত এবং ব্যয়বহুল হওয়ায়, সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন।
দেশে ৩০ বছর বয়সী নারীদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার। এ হিসাব অনুযায়ী, ৬ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ৯ লাখ ৮২ হাজার নারী ক্যান্সারপূর্ব বা ক্যান্সার অবস্থায় আছেন। এ ধরনের নারীদের চিহ্নিত করে চিকিৎসা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।