বৃহস্পতিবার
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫
৯ই মাঘ, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

Fresh News রিপোর্ট
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
৩:১০ অপরাহ্ণ

ভারতের ভোপাল অঞ্চলের প্রাক্তন নবাবদের মালিকানাধীন এবং অভিনেতা সাইফ আলি খান ও তার পরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ভাগ্য বর্তমানে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ১৯৬৮ সালের ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ অনুযায়ী, এই সম্পত্তি কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করতে পারে। তবে সাইফের মা শর্মিলা ঠাকুর চাইলে সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন।

১৯৬৮ সালের এই আইনের ভিত্তিতে, দেশভাগের পর যারা পাকিস্তানে চলে গেছেন, তাদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি ভারত সরকার অধিগ্রহণ করতে পারে। ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের বড় মেয়ে আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে যান, আর তার মেজো মেয়ে সাজিদা সুলতান ভারতে থেকে যান এবং নবাব ইফতেখার আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করেন। সাজিদা সুলতান পরে আইনত এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন।

২০১৫ সালে শর্মিলা ঠাকুর এবং তার পরিবার এই সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের শুনানির সময় সরকারি আইনজীবী জানান, শত্রু সম্পত্তি আইন ২০১৭ সালে সংশোধন করা হয়েছে এবং ১৯৬৮ সালের তারিখ থেকে এটি কার্যকর বলে গণ্য হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সম্পত্তির ভাগ্য নির্ভর করছে পতৌদি পরিবারের করা আপিলের ওপর। আইন অনুসারে, যদি পরিবারের পক্ষ থেকে আদেশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন না করা হয়, তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই সম্পত্তি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে।

বর্তমানে, ভোপালের কালেক্টর কৌশলেন্দ্র বিক্রম সিং বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের আদেশের বিস্তারিত জানেন না এবং প্রাসঙ্গিক নথি পাওয়ার পরই মন্তব্য করবেন। প্রবীণ আইনজীবী জগদীশ ছাভানি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশের ভিত্তিতে পতৌদি পরিবারের এই বিশাল সম্পত্তি এখনো আইনি বিতর্কে আটকে আছে।

প্রসঙ্গত, শত্রু সম্পত্তি আইনটি ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সংসদে পাস করা হয়, যার মাধ্যমে ভারতে অভিবাসীদের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই আইনের আওতায়ই বর্তমানে ঝুলে রয়েছে সাইফ আলি খান ও তার পরিবারের সম্পত্তির ভবিষ্যৎ।