যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি দাবি করেন, গাজা উপত্যকাকে ‘‘পরিষ্কার’’ করতে তিনি মিসর ও জর্ডানকে আরও ফিলিস্তিনিকে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প জানান, তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি মিসরে ১৫ লাখের মতো ফিলিস্তিনিকে স্থানান্তর করতে চান এবং গাজার পুরো অঞ্চল ‘‘পরিষ্কার’’ করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
তবে এই পরিকল্পনাকে ঘিরে ভয়াবহ সমালোচনা উঠেছে। ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ‘‘যুদ্ধাপরাধে’’ উৎসাহিত করার অভিযোগ তুলেছে, এবং এটিকে ‘‘দুঃখজনক’’ বলে মন্তব্য করেছে। পিআইজে দাবি করেছে, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সৃষ্টি করবে। তারা মিসর ও জর্ডানকে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে আহ্বান জানায়।
কাতারের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল-আরিয়ানও এই পরিকল্পনাকে জাতিগত নিধনের সম্ভাবনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই পরিকল্পনার পিছনে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের জাতিগত নিধনের অঙ্গীকার স্পষ্ট।’’
এদিকে, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ট্রাম্পের ধারণাকে সমর্থন জানিয়েছেন।