ইউরোপে মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পাকিস্তান বিমানবন্দরে তরুণ যাত্রীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিমানবন্দরগুলোতে ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী যাত্রীদের বিশেষ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যারা মানবপাচারের জন্য পরিচিত দেশগুলোর ফ্লাইটে চড়ছেন।
এ সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে আফ্রিকার দেশ লিবিয়া ও মরক্কো থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনা, যেখানে বেশ কয়েক ডজন পাকিস্তানি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। সর্বশেষ, গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪০ পাকিস্তানি নাগরিক নিহত বা নিখোঁজ হন।
পাকিস্তানের ইমিগ্রেশন দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড অফিসারদেরকে নির্দেশনা দিয়েছে যেন তারা মানবপাচারের হটস্পট হিসেবে পরিচিত দেশগুলোর যাত্রীদের প্রোফাইল তৈরি করে।
এছাড়া, পাকিস্তান থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে আফ্রিকা এবং সেখান থেকে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা তরুণরা অনেক সময় মানবপাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করে। মানবপাচারকারীরা লিবিয়া, মিসর, মরক্কো, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, তুরস্কসহ বিভিন্ন এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।