মধ্য-পূর্ব ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়লেও, সম্প্রতি দেশটির সরকার শ্রমিক ভিসা প্রক্রিয়ায় কঠোর শর্ত আরোপের পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশের অভিবাসীদের অনিয়মের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ক্রোয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
২০২৩ সালে ক্রোয়েশিয়া সরকার ১২,৩০০ বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দিলেও, এর মধ্যে ৮,০০০ জনই দেশটিতে প্রবেশ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা শেঙ্গেনভুক্ত অন্যান্য দেশে চলে গেছেন। বাকি ৪,৪০০ জনের অর্ধেকও ক্রোয়েশিয়া ছেড়ে গেছেন বলে জানা গেছে। শুধু বাংলাদেশিই নয়, ভারত, নেপাল, ফিলিপাইন ও মিসরের কর্মীদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে, তবে বাংলাদেশিদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে, ক্রোয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়ায় কঠোরতা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবেদনকারীদের অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই করা হবে এবং ক্রোয়েশিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে, নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশিদের জন্য ক্রোয়েশিয়ায় কোনো সরাসরি দূতাবাস না থাকায়, দেশটির ভিসার জন্য ভারতের নয়াদিল্লিতে আবেদন করতে হয়। বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিএফএস এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছে। তবে নতুন শর্ত আরোপের ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ক্রোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।