বেলজিয়ামের নতুন প্রধানমন্ত্রী বার্ত ডে ভেফা তার সরকারের অভিবাসন নীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিশেষ করে পারিবারিক পুনর্মিলনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠোর অভিবাসন নীতি কার্যকর করা হবে।
পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে ডে ভেফা বলেন, “আমাদের আরও সুশৃঙ্খল এবং মানবিক অভিবাসন নীতির জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।” তার এই ঘোষণা বেলজিয়ামের অভিবাসন ব্যবস্থার এক নতুন দিক নির্দেশ করে, যেখানে সাশ্রয়ী ও নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ব্যবস্থাপনা লক্ষ্য রাখা হবে। ২০২৪ সালে বেলজিয়ামে ৩৯ হাজার ৬১৫টি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বেলজিয়ামের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রতি বছর ৩৬ হাজার ২০০ জন শরণার্থীকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে, অভিবাসন প্রক্রিয়া এবং আশ্রয়ের আবেদন জমা দেওয়ার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, এবং এতে দেশটির অভ্যন্তরীণ কূটনৈতিক পরিসরে নতুন চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
বেলজিয়ামের নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তার সরকার অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার একদিকে যেমন বাজেট ও সামাজিক নীতি আরও ন্যায্য করবে, তেমনই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং অভিবাসনের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ডে ভেফা তার দলের বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা এমন একটি সরকার গঠন করছেন যা অভিবাসন, নিরাপত্তা ও সুশাসন বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।