ঈমানদারগণ আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা এবং তাঁরা ইহকাল ও পরকালে সফলকাম। আল্লাহ তায়ালা তাঁর কুরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথপ্রাপ্ত, আর তারাই প্রকৃত সফলকাম’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ৫)। অন্য আয়াতে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনগণ সফলকাম।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) মুমিনের এমন ২০টি বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন, যা দেখে প্রকৃত মুমিনকে সহজেই চেনা যাবে। হজরত সোয়াইদ ইবনে হারেস (রা.) বর্ণনা করেছেন, একবার তিনি এবং তার গোত্রের সাতজন ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। রাসুল (সা.) তাদের চেহারা ও পোশাক দেখে মুগ্ধ হন এবং প্রশ্ন করেন, “তোমরা কারা?” তারা উত্তরে বলেন, “আমরা মুমিন।” তখন রাসুল (সা.) হাসলেন এবং বললেন, “প্রত্যেকটা বস্তুর একটি হাকিকত (বাস্তবতা) আছে। তোমাদের ঈমানের হাকিকত কী?”
মুমিনদের ২০টি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
ঈমানের ওপর বিশ্বাস: ১. আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ২. ফেরেশতাগণের ওপর বিশ্বাস ৩. কিতাবগুলোর ওপর বিশ্বাস ৪. রাসুলগণের ওপর বিশ্বাস ৫. মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের ওপর বিশ্বাস
আমলের ওপর বিশ্বাস: ১. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়া ২. নামাজ কায়েম করা ৩. জাকাত প্রদান করা ৪. রমজানের রোজা রাখা ৫. সক্ষম হলে হজ করা
ইসলামপূর্ব যুগের অর্জিত গুণাবলি: ১. স্বাচ্ছন্দ্য ও সমৃদ্ধির সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ২. বিপদাপদের সময় ধৈর্যধারণ করা ৩. সম্মুখযুদ্ধে অঙ্গীকার বজায় রাখা ৪. আল্লাহর সব ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা ৫. বিপদের সময় শত্রুর বিদ্রুপে ধৈর্যধারণ করা
রাসুল (সা.) মুমিনদের আরও পাঁচটি গুণ বাড়িয়ে দিলেন: ১. অতিরিক্ত সম্পদ জমা না করা ২. অযথা বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ না করা ৩. ক্ষণস্থায়ী বিষয় নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ না করা ৪. আল্লাহকে ভয় করা, যাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে ৫. জান্নাতের প্রতি আগ্রহী হওয়া, যেখানে চিরকাল থাকতে হবে
এই গুণাবলি অনুসরণ করে প্রকৃত মুমিন আল্লাহর প্রতি তার ঈমান ও আনুগত্যের হাকিকত প্রতিষ্ঠা করতে পারে।