রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদেশের জন্য স্মৃতিবাহী এক ভেন্যু। ২০২৪ সালের আগস্টে এখানেই পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। তবে আজকের ম্যাচের বাস্তবতা ভিন্ন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে টিকে থাকতে হলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ভিন্ন কোনো পথ নেই বাংলাদেশের সামনে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মাত্র ৩৯ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে হারের পর সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ কঠিন হয়ে গেছে। আজকের ম্যাচে যদি নিউজিল্যান্ড জয় পায়, তবে তাদের পয়েন্ট হবে ৪, যা সেমিফাইনালের পথ খুলে দেবে কিউইদের। অপরদিকে, বাংলাদেশের জয় না হলে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ওয়ানডে পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ জিতলেও এরপর আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজিত হয়েছে দল। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে দলের আত্মবিশ্বাসও তলানিতে। আজকের ম্যাচে স্কোয়াডে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খেলা এখনও অনিশ্চিত। তিনি খেললে বাদ পড়তে পারেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া পেস আক্রমণে তানজিম সাকিবের পরিবর্তে নাহিদ রানাকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের একাদশে খুব বেশি পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। রাচিন রবীন্দ্র ফিট হলে ফিরতে পারেন, তবে প্রথম ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা স্কোয়াড অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
২০১৫ সালের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিয়মিত প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। এই সময়ে ২১ ম্যাচ খেলে কিউইরা জিতেছে ১৭টিতে, বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ৪ ম্যাচে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুই দলের দেখা হয়েছে দুইবার, জয় সমান ভাগে বিভক্ত। ২০১৭ সালে কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর স্মৃতি বাংলাদেশ দলের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
রাওয়ালপিন্ডির পিচ সাম্প্রতিক সংস্কারের পর কিছুটা ভিন্ন আচরণ করতে পারে, তবে এখানে বোলারদের জন্য সহায়তা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্পিনারদের পাশাপাশি পেসারদেরও ভালো করার সুযোগ থাকবে। বাংলাদেশ দলে তাই বোলিং আক্রমণের দিকেও বাড়তি নজর রাখা হতে পারে। ম্যাচটি টাইগারদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ লড়াই, যেখানে জয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।