রবিবার
২০শে এপ্রিল, ২০২৫
৭ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

তাইওয়ানকে একীভূত করতে দৃঢ়ভাবে এগোবে চীন

Fresh News রিপোর্ট
মার্চ ৫, ২০২৫
১১:১০ পূর্বাহ্ণ

 

তাইওয়ানের সঙ্গে “পুনঃএকত্রীকরণ” করার লক্ষ্যে চীন দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। একইসঙ্গে তিনি বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করার পাশাপাশি চীনা জাতির পুনরুজ্জীবন সাধনে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বুধবার (৫ মার্চ) চীনের পার্লামেন্টে বার্ষিক কার্যপ্রতিবেদন উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। তার ভাষ্যে, বেইজিং তাইওয়ানের সঙ্গে পুনরেকত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করবে এবং দ্বীপটির স্বাধীনতার জন্য কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বরদাশত করবে না।

বেইজিং দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে, যদিও দ্বীপটি গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত একটি স্বশাসিত অঞ্চল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়িয়েছে এবং একাধিকবার বড় পরিসরের সামরিক মহড়া চালিয়েছে।

লি কিয়াং তার প্রতিবেদনে বলেন, “আমরা চীনের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে অটল থাকব এবং চীনা জাতির পুনরুজ্জীবনের মহৎ লক্ষ্য অর্জনে তাইওয়ানের আমাদের সহযোগী চীনাদের সঙ্গে কাজ করব।” আগের বছরগুলোর প্রতিবেদনে তিনি একই ধরনের বার্তা দিলেও এবার ‘শান্তিপূর্ণ’ শব্দটি বাদ দিয়ে পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান আরও কঠোর করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এদিকে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে স্পষ্ট করে বলেছেন, শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তিনি বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানালেও চীন বরাবরই তাকে “বিচ্ছিন্নতাবাদী” বলে অভিহিত করে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

চীন কখনোই শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করেনি, বরং তারা বারবার বলেছে যে প্রয়োজন হলে তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা শক্তি প্রয়োগ করবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে বেইজিং বলেছে, তারা তাইওয়ান ইস্যুতে যেকোনো বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করবে। তবে তাইওয়ানের চীন বিষয়ক নীতি-নির্ধারণী সংস্থা মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। একজন শীর্ষস্থানীয় তাইওয়ানিজ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেইজিংয়ের অবস্থানে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি।