রবিবার
২০শে এপ্রিল, ২০২৫
৭ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের পাল্টায় কড়া জবাব দিল কানাডা

Fresh News রিপোর্ট
মার্চ ৫, ২০২৫
১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

 

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্য আমদানিতে তাৎক্ষণিকভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই এই পদক্ষেপ নেয় কানাডা। ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতিকে “বাণিজ্য যুদ্ধ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এটি মূলত আমেরিকান পরিবারগুলোর ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ট্রুডো তার বক্তব্যে বলেন, কানাডা বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত মিত্র ও অংশীদার। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ অযৌক্তিক ও ক্ষতিকর। তিনি স্পষ্ট করেন, কানাডার জনগণ শান্তিপ্রিয় হলেও দেশের স্বার্থ রক্ষায় তারা কোনো অবস্থাতেই পিছু হটবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতির জবাবে কানাডা শুধু পাল্টা শুল্কই আরোপ করেনি, বরং প্রয়োজনে আরও ১২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। ট্রুডো এই শুল্ককে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করে জানিয়েছেন, কানাডা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) কাছে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করবে।

এদিকে, ট্রুডো ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কড়া সমালোচনা করে বলেন, এই সিদ্ধান্ত মুদ্রাস্ফীতির চাপ তৈরি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে সেসব খাতে, যেগুলো কানাডার সঙ্গে সরাসরি ব্যবসায়িক সম্পর্কিত।

তিনি ট্রাম্প প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “উত্তর আমেরিকার জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত, অথচ তারা সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। এই শুল্ক আরোপের কোনো যৌক্তিকতা নেই।”

এই বাণিজ্য সংঘাতের কারণে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে উভয় দেশের শুল্ক নীতির প্রভাব বিশ্ববাজারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।