নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৯টি বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ চূড়ান্ত করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে প্রস্তাব চেয়েছে সরকার।
এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান ইসি সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন। একই ধরনের চিঠি আরও চারটি সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে ছয়টি কমিশন ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো চিহ্নিত করে আইন উপদেষ্টার মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো নির্ধারিত ছকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে। বিশেষ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সুপারিশের ক্ষেত্রে ইসি এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগকে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ৯টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সংশোধন), নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০১ (সংশোধন), নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি সংশোধন এবং নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। এছাড়া, হলফনামার খসড়া, প্রবাসী ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থার পর্যালোচনার সুপারিশ ইসিকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, তারা চিঠির উত্তর দেবেন এবং কমিশন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে, বিচার বিভাগ, দুদক, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর মধ্য থেকে ১১২টি প্রস্তাব বাছাই করা হয়েছে। এসব সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।