পহেলা বৈশাখ এবার দুই দিনব্যাপী উদযাপিত হবে এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে – ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
সোমবার (২৫ মার্চ) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনের কর্মসূচি নির্ধারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, এবারের নববর্ষ উৎসব দুই দিনব্যাপী উদযাপিত হবে, যেখানে চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজনও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গল শোভাযাত্রা বহুদিনের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। এটি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে এবং লোক-ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রা ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সর্বজনীনভাবে উদযাপিত হবে।
পহেলা বৈশাখ সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শিশুপার্ক ও শাহবাগ ঘুরে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গিয়ে শেষ হবে। উৎসবকে সুশৃঙ্খল করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ থাকবে, তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিকেল ৫টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে এবং ৫টার পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এছাড়া ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর স্টিকারবিহীন কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না এবং নববর্ষের দিন মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য নির্দিষ্ট গেট ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এছাড়া প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।