নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত ভাসানচরকে প্রশাসনিকভাবে আলাদা করার ষড়যন্ত্র চলছে—এ অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছে হাতিয়ার সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বুধবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জাহেদুল আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৬-১৭ সালের দিয়ারা জরিপ অনুসারে ভাসানচরের ছয়টি মৌজা—ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা ও কেউয়ার চর—হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। ২০১৮ সালে এটি চূড়ান্তভাবে রেকর্ডভুক্ত হয় এবং ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির আদেশে ‘ভাসানচর থানা’ গঠন করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি চট্টগ্রাম জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস ২৩ মার্চ যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর। এই প্রতিবেদনে বিকৃত সিএস ম্যাপ ও গুগল ম্যাপের উপর ভিত্তি করে ভাসানচরের মালিকানা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ১৯২৯, ১৯৫৪ ও সাম্প্রতিক জরিপ এবং সরকারি গেজেট উপেক্ষা করা হয়েছে।
ডা. জাহেদুল আলম এই উদ্যোগকে সরাসরি প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এর মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাসানচরকে নিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চলছে। তিনি এই ষড়যন্ত্র বন্ধে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।