সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার আলহাজ্ব মজিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ সামিউল বিদায় অনুষ্ঠানের ১৫০০ টাকা ও এডমিট কার্ডের জন্য অতিরিক্ত ১০০ টাকা না দেওয়ায় এখনো পর্যন্ত এডমিট কার্ড হাতে পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
সামিউল বলেন, কাল আমার এসএসসি পরীক্ষা। কিন্তু এখনও এডমিট কার্ড পাইনি। প্রধান শিক্ষক বলেছিলেন ১৫০০ না পারলে অন্তত ৭০০ টাকা দিতে। আমি গরিব মানুষ, এই টাকা জোগাড় করতে পারিনি।
এ নিয়ে কথা বলার সময় সামিউলের মা জানান, ছেলে যা বলেছে, আমি দুঃখিত। আমি কাল প্রধান শিক্ষকের বাড়ি গিয়ে নিজের হাতে এডমিট কার্ড নিয়ে আসব।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আবু জাফর বলেন, মোবাইলে সব বলা যায় না। আপনি চাইলে ছদ্মবেশে স্কুলে আসুন, তখন সরাসরি কথা বলা যাবে।
স্থানীয় ব্যক্তি মো. লাভলু বলেন, প্রধান শিক্ষক সামান্য এডমিট কার্ডের জন্য একজন ছাত্রকে চড় মেরেছেন বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে বড়ধুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আয়নাল বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলেসহ দুইজন আমার কাছে অভিযোগ করেছে, বিদায় অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ায় তাদের এডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। বিষয়টি আমি স্কুলের দপ্তরিকে জানিয়েছি।
একাধিকবার ফোন করেও প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক মীর মো. সারোয়ার্দী’র সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বেলকুচি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজা বলেন, এডমিট কার্ডের জন্য টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। যেকোনো মূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে কার্ড পৌঁছাতে হবে। আমি এখনই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে আমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য বলুন। আমি বিষয়টি দেখছি।