সোমবার
২১শে এপ্রিল, ২০২৫
৮ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারে স্থিতিশীলতায় প্রভাব পড়বে না

Fresh News রিপোর্ট
এপ্রিল ১০, ২০২৫
৭:২৭ অপরাহ্ণ

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করছেন না বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ। তিনি বলেছেন, এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব পড়বে না, বরং এটি একটি ক্ষুদ্র বিষয় মাত্র।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) আয়োজিত এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। হাইকমিশনার বলেন, “এটা বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এ নিয়ে মন্তব্য করা আমার পক্ষে সঠিক নয়। মালদ্বীপের ট্রান্সশিপমেন্ট সাধারণত শ্রীলঙ্কার মাধ্যমে হয়ে থাকে, তাই ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের কোনো প্রভাব নেই।”

তিনি আরও বলেন, মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা দেশটির আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এদের সঠিকভাবে নথিভুক্ত করার জন্য ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘মালে থেকে ঢাকা: বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারকরণ’ শীর্ষক এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, দুই দেশ ভৌগোলিক ও সামাজিকভাবে অনেক মিলের মধ্যে রয়েছে এবং তারা একে অপরের সঙ্গে সমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। কর্মসংস্থান, বাণিজ্য, পর্যটন, এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা খাতে আরও সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওবায়দুল হক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপের ঐতিহাসিক সমুদ্র সংযোগ থাকলেও এখনো পর্যন্ত সরাসরি কোনো শিপিং লাইন চালু হয়নি। সেটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। তিনি পর্যটন, মৎস্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি খাতে সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।