ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় এবার ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে দেশের ২৮টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব। নিজ নিজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অংশগ্রহণ করে তাঁরা শোভাযাত্রাকে রাঙিয়ে তুলেছেন নতুনভাবে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় দেখা গেছে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র, নৃত্য আর সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে উৎসবের রঙে যোগ দিয়েছেন ভিন্ন মাত্রা। ম্রো, মারমা, খেয়াং, তঞ্চঙ্গা, সাঁওতাল, ওরাওঁ, মনিপুরীসহ পার্বত্য ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বে এটি হয়ে ওঠে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন।
শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। রঙে-ছন্দে মুখর এ আয়োজনে প্রদর্শিত হয় সাতটি বড়, সাতটি মাঝারি ও সাতটি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি বিশাল আকৃতির শিল্পকর্ম। মূল আকর্ষণ ছিল ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’, পায়রা, বাঘ, মাছ এবং আলোচিত পানি বোতলের প্রতিকৃতি।
চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর ঘুরে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে এটি রূপ নেয় সর্বজনীন উৎসবে।
আয়োজকদের ভাষ্যে, ১৯৮৯ সালের ঐতিহাসিক নাম ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে এবার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সম্প্রীতির বার্তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এটি শুধু উৎসব নয়, বরং একটি ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবেই উঠে এসেছে নতুন রূপে।