ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় আরও অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন। গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনি।
রোববার আল জাজিরা ও আনাদোলু এজেন্সির পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫১ হাজার ১৫৭ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ জনের বেশি।
গাজায় শনিবার দিনভর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান থেকে চালানো বোমাবর্ষণে প্রাণ হারান আরও ৫২ জন। অনেক আহত ব্যক্তিকে এখনো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি-আমেরিকান বন্দি এডান আলেকজান্ডারকে পাহারা দেওয়া এক যোদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে বন্দির অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গাজায় অভিযান আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন। জানুয়ারিতে ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পর প্রায় দুই মাস কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি থাকলেও মার্চের মাঝামাঝি ফের বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৬০ শতাংশ অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।