বুধবার
৭ই মে, ২০২৫
২৪শে বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

গাজা যেন এক জীবন্ত কবরস্থান, যেখানে শিশুদের কান্নাও প্রতিদিনের সঙ্গী

Fresh News রিপোর্ট
মে ৫, ২০২৫
১০:৪৪ অপরাহ্ণ

গাজার আকাশের নিচে এখন শুধু ধ্বংসস্তূপ, ছিন্নভিন্ন স্বপ্ন আর মানুষের ভাঙা নিঃশ্বাস। শিশুরা আর খেলেনা, মায়েরা আর স্বপ্ন বোনেনা, বাবার কণ্ঠ স্তব্ধ। পুরো ভূখণ্ড যেন পরিণত হয়েছে এক শোকাবহ শ্মশানে, যেখানে প্রতিটি ইটের নিচে চাপা পড়ে আছে জীবনের সম্ভাবনা।

এমন কোনো রাত নেই, যেখানে শিশুর আর্তনাদ শুনতে হয় না। এমন কোনো সকাল নেই, যা নিরাপদ মনে হয়। প্রতিদিনের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে—ফিলিস্তিনিরা যাবে কোথায়? কে দেবে তাদের আশ্রয়?

গাজা আজ শহর নয়, বরং একটি বিশাল কবরস্থান। যেখানে ইট-পাথরের মাঝে মিশে গেছে স্বপ্ন আর স্মৃতি। ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ এড়িয়ে গেছে এমন কোনো স্থান অবশিষ্ট নেই। স্কুল, হাসপাতাল, এমনকি শিশুর বিছানাও বাদ যায়নি। ফিলিস্তিনিরা এখন আর কিছু চায় না—শুধু বাঁচতে চায়। কিন্তু সে আশাও ফুরিয়ে আসছে।

প্রায় ৪৭০ দিন ধরে চলা আগ্রাসনে রাফাহ দখলের পর গাজাবাসী একেবারে বন্দি হয়ে পড়েছে। দক্ষিণে যাওয়ার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেঁচে থাকার সব দরজা একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল আরও সৈন্য ডেকে গাজায় সামরিক অভিযান জোরদার করেছে। এই অভিযান হামাসকে নির্মূলের পাশাপাশি বন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবি নিয়ে চালানো হলেও বাস্তবে তা এক ভয়াবহ গণবিধ্বংসী অভিযানে রূপ নিচ্ছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, এবার ভূগর্ভস্থ ও স্থলভাগের সব অবকাঠামো ধ্বংসের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও এই নতুন অভিযানও বন্দিমুক্তির কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা নতুন করে হামলা ছড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে। তবে ট্রাম্পের সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ অভিযান স্থগিত রাখা হতে পারে।

হামাসের হাতে বর্তমানে ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের মধ্যে কেবল ২৪ জনের জীবিত থাকার বিষয়ে ধারণা আছে। অথচ গোটা গাজার ২০ লাখ মানুষ—তারা কাদের কাছে বন্দি? প্রশ্ন থেকেই যায়—এই পৃথিবীতে কি কোনো জায়গা নেই, যেখানে একজন ফিলিস্তিনি শিশু নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে?