মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, যিনি বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন, তাঁর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা। ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে সংগঠিত লংমার্চ ছিল জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, “ভাসানী শুধু একজন নেতা নন, তিনি আমাদের জাতির দিশারী। জাতীয় সংকটে আমরা বারবার তাঁর কাছে ফিরে গিয়েছি। তাঁর দিশা ছিল শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করা।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্যকে আরও সংহত করতে হবে। ভাসানীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে।”
সৈকত আরিফ উল্লেখ করেন, “ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের দীর্ঘ ১৫ বছরের সংগ্রাম এবং গণঅভ্যুত্থানে জাতির মধ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিভাজন নয়, বরং ঐক্যের মাধ্যমে মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।”
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি ফাতেমা রহমান বিথী, নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, ঢাকা নগর শাখার রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসিন খান, প্রচার সম্পাদক সজল আহমেদ এবং টাঙ্গাইল জেলার প্রচার সম্পাদক তৌহিদা স্বপ্নীল।
মওলানা ভাসানী স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীন বাংলা গঠনে তাঁর ভূমিকা জাতি চিরকাল স্মরণ করবে। তাঁর লংমার্চের মতো কর্মসূচি দেশের স্বার্থ রক্ষায় সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ঐক্যের প্রতীক হয়ে থাকবে। জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করে গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠনে ভাসানীর শিক্ষা আজও সমান প্রাসঙ্গিক।