তিনটি বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন নেইমার জুনিয়র, তবে কাঙ্ক্ষিত শিরোপার দেখা পাননি। ফর্মের চেয়ে তার ক্যারিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার চোট। বয়সের হিসাব বলছে, ২০২৬ বিশ্বকাপই হতে পারে তার শেষ। তাই সেটিকে ঘিরেই নিজের স্বপ্ন ও প্রস্তুতি সাজাচ্ছেন নেইমার।
বার্সেলোনায় মেসি-সুয়ারেজ-নেইমারের ‘এমএসএন’ ত্রয়ী একসময় ছিল ফুটবলবিশ্বের সেরা আক্রমণভাগ। সময়ের স্রোতে এই ত্রয়ী আলাদা হয়ে গেলেও তাদের বন্ধুত্ব অটুট। বর্তমানে মেসি ও সুয়ারেজ খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে। নেইমার সৌদি আরবের আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন, তবে চোটের কারণে খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার।
সম্প্রতি নেইমারকে ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর পুনর্মিলন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মেসি ও সুয়ারেজের সঙ্গে খেলা ছিল দারুণ অভিজ্ঞতা। আমরা এখনও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। যদি আবারও একসঙ্গে খেলতে পারি, তা অসাধারণ হবে। আমি বর্তমানে আল হিলালে খুশি, কিন্তু ফুটবল তো সবসময়ই চমকে ভরা।’
নেইমার ক্লাব ক্যারিয়ারে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও তার চোখ এখন ২০২৬ বিশ্বকাপে। শেষ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি এটি আমার শেষ বিশ্বকাপ। আমি সেখানে থাকার জন্য এবং নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা করব। এটি আমার জন্য শেষ সুযোগ।’
চোট কাটিয়ে এখন আবারও মাঠে ফেরার লড়াইয়ে আছেন নেইমার। তার কাছে ২০২৬ বিশ্বকাপ শুধু একটি টুর্নামেন্ট নয়, বরং একটি অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের শেষ মঞ্চ।