সোমবার
২১শে এপ্রিল, ২০২৫
৮ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ইসরায়েল ও মিসর ব্যতীত সব দেশে বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত

Fresh News রিপোর্ট
জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
৫:০০ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল ও মিসর ব্যতীত সব দেশে বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত রাখা হয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে রুবিও বলেন, “বর্তমানে শুধুমাত্র জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে। বিগত প্রশাসনের আমলে দেওয়া সহায়তা ও প্রতিশ্রুতিগুলো যাচাই করার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হতে ৮৫ দিন লাগবে।”

এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন প্রকল্প, স্বাস্থ্য খাত, এবং সামরিক সহায়তায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে ইউক্রেন, যে দেশটি পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসন থেকে বিপুল সামরিক ও বাজেট সহায়তা পেয়ে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

এছাড়া বৈশ্বিক কল্যাণমূলক সংস্থা পেপফারও গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এই সংস্থাটি আফ্রিকার এইডসপীড়িত দেশগুলোতে বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের উদ্যোগে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশ্বব্যাপী এই সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। যদিও নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং জাপানের মতো দেশগুলো নিয়মিত বৈদেশিক সহায়তা দিয়ে থাকে, তবে এখনও এই খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান শীর্ষে। ২০২৩ সালে দেশটি বিশ্বজুড়ে ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করেছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এ সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, “বিগত প্রশাসনের দেওয়া সহায়তাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা যাচাই না করা পর্যন্ত নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অসম্ভব।”

ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপ বৈদেশিক নীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বৈশ্বিক উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।