জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এহসানুল মাহবুব যোবায়ের গাজীপুরে গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং উত্তরার একটি বায়িং হাউজে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীর দাবি, তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন এবং আহতদের চিকিৎসা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন। অথচ, গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকায় ২০ জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলি চালানোর অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলাটি গাজীপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দায়ের করেছেন মো. জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
ভুক্তভোগী জানান, ৫ আগস্টের পর গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতা অমিত কুমার নুপুর, আবুল কালাম আজাদ, আলী আসাদ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম তার নির্মাণাধীন গার্মেন্টসে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন এবং তা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগেও বাধা সৃষ্টি করেন। স্থানীয়দের মতে, আলী আসাদ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতাদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুলতেন এবং বর্তমানে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে চাঁদাবাজির কাজে যুক্ত হয়েছেন।
এহসানুল মাহবুব যোবায়ের জানান, ২০ জুলাই তিনি উত্তরায় অফিসে ছিলেন এবং সেখান থেকে আন্দোলনে অংশ নেন। তার ভাষ্য, চাঁদা না দেওয়ায় প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে গাছা থানায় অভিযোগ এবং গাজীপুর কোর্টে মামলাও করেছেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে দেশে গণহারে ভুয়া মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আদালতে এই মামলা টিকবে না, সেটি আমি জানি, কিন্তু আমাকে কেন আদালতে যেতে হবে? কেন আমাকে আইনজীবী ধরে জামিন নিতে হবে? এসব মিথ্যার প্রতিকার কী?”
