বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা আন্দোলন স্থগিত করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে হাসপাতালে ফিরে গেছেন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুরোধে তারা স্থান ত্যাগ করেন।
এর আগে আহতরা সাত দফা দাবি জানান এবং তাদের দাবি মনোযোগ দিয়ে শোনেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি আহতদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তিনি সচিবালয়ে গিয়ে তাদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যাপারে কথা বলবেন। তিনি আরও জানান, তিনজন আহত প্রতিনিধি তার সঙ্গে সচিবালয়ে যাবেন, যাদের নাম সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে চূড়ান্ত করা হবে।
রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আহতরা যমুনার সামনে অবস্থান নেন। শুরুতে তারা হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তারা অভিযোগ করেন, সরকার আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি।
আহতদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা দিতে না পারাটা সরকারের ব্যর্থতা। এর জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দালাল চক্র দায়ী। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের হাতে কিছু নেই, আমরা সরাসরি কিছু করতে পারি না। কিন্তু আমি সরকারকে জানিয়ে injuredদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে বলব।”
আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, সরকার আগে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুক, তারপর সংস্কার, দল গোছানো ও নির্বাচন নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তারা জানিয়েছেন, আহতদের পরিবারের খবর নেওয়া হয়নি, বরং রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে নেতারা ব্যস্ত আছেন। যদিও হাসনাত আব্দুল্লাহ আশ্বাস দিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।