নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অ্যাডহক কমিটিতে নিজের ছেলের নাম প্রস্তাব না পাঠানোয় এক বিএনপি নেতা প্রকাশ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছেন, যা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের পণ্ডিতের হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার শিক্ষক এ এন এন ইয়াছিন পশ্চিম চরকাঁকড়া পণ্ডিতের হাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। পরে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা পুলিশের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ফিরে যায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. রেজাউল হক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি স্থানীয়ভাবে পল্লী চিকিৎসক ও ওষুধ ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত।
প্রধান শিক্ষক এ এন এন ইয়াছিন জানান, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় একটি তিন সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এতে বিএনপি নেতা রেজাউল হকের ছেলের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তার বয়স কম ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রেজাউল হক প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে মারধর করেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতিতে রেজাউল হক প্রধান শিক্ষকের কাছে ক্ষমা চান। তবে শিক্ষার্থীরা তার দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
রেজাউল হক ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে জানান, তিনি প্রধান শিক্ষককে মারধর করেননি, তবে কিছু তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের লোকদের নাম প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, যা নিয়ে তিনি শুধু প্রশ্ন তুলেছিলেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হোসেন জানান, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।