এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩.৬ এবং ১১.২ অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী এবং সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে “নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা জানান। বক্তাদের মতে, জাতিসংঘের গ্লোবাল প্ল্যান এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাংলাদেশকে প্রতিরোধযোগ্য রোডক্র্যাশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে। এর জন্য উপযুক্ত শক্তিশালী নীতি ও আইনি কাঠামো প্রয়োজন।
বর্তমানে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এবং ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২’ বলবত থাকলেও সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি বলে বক্তারা জানান।
আলোচনা সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে এবং দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার শুভ্র দেবের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর আবু রুশদ মো. রুহুল আমিন, এবং একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি শাহনাজ শারমিন।
গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান সড়ক নিরাপত্তার জন্য “সেইফ সিস্টেম” অ্যাপ্রোচের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং জানান, দেশে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো কার্যকর আইন না থাকায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে হবে, যা সড়ক অবকাঠামো, যানবাহন এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক সবার মৌলিক অধিকার, এবং এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।
বক্তারা আরও বলেন, যদি সরকার জাতিসংঘের সুপারিশকৃত সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ অনুসরণ করে একটি কার্যকর সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে, তাহলে রোডক্র্যাশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে।