যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত সংলাপ এবং খনিজ উপাদান হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছিল। কিন্তু উত্তেজনা এবং বিতর্কের মধ্যে শেষ হয়েছে সেই বৈঠক, এবং কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর না করেই জেলেনস্কি ওয়াশিংটন থেকে ফিরে গেছেন।
বৈঠকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য কূটনৈতিক তৎপরতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর পর জেলেনস্কি তাকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কোন ধরনের কূটনীতির কথা বলতে চাইছেন?” ভ্যান্স উত্তরে বলেন, “আমি সেই ধরনের কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।”
জেলেনস্কি এর পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমরা একজন খুনীর সঙ্গে কখনও সমঝোতায় যাব না।” এরপর ট্রাম্প বিতর্কে যোগ দেন এবং জেলেনস্কিকে বলেন, “আপনি এখন ভালো অবস্থায় নেই। আপনার হাতে কোনো কার্ড নেই। যদি আপনি আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাহলে আপনার হাতে কার্ড আসা শুরু করবে।”
বিতর্ক আরও তীব্র হয় যখন ট্রাম্প বলেন, “আপনি কার্ড খেলছেন; শুধু তাই নয়, লাখ লাখ মানুষ এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়েও জুয়া খেলছেন আপনি।” তিনি জেলেনস্কিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সমঝোতা করতে আহ্বান জানান, এবং বলেন, “যদি আপনি (পুতিনের সঙ্গে) সমঝোতা করতে না পারেন, তাহলে আমরা সরে যাব এবং এই যুদ্ধ আপনাকে একা লড়তে হবে।”
এই উত্তেজনার মধ্যেই বৈঠক ত্যাগ করেন ট্রাম্প। তার সহকারীরা জেলেনস্কিকে ওভাল অফিস ত্যাগ করতে বলেন, যা জেলেনস্কি মেনে নেন। বৈঠক শেষে ট্রাম্প ফ্লোরিডায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এদিন জেলেনস্কিকে বলা উচিত ছিল, ‘আমি আর যুদ্ধ চাই না,’ কিন্তু তিনি পুতিনকে দোষারোপ করেছেন। তার এমনটা করা উচিত হয়নি।”
ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ফের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান, তবে সশর্তভাবে, “যেদিন তিনি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, সেদিন আবার (হোয়াইট হাউসে) ফিরে আসতে পারবেন।”