রবিবার
২০শে এপ্রিল, ২০২৫
৭ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও শাহ আলম

Fresh News রিপোর্ট
মার্চ ১৩, ২০২৫
৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ফ্রেশ নিউজ  :

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর বাজারে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান কয়েক শ গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে । প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন মো. শাহ আলম।

ভৈরব উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক শ মানুষ লাভের আশায় চাঁনপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে টাকা জমা দিয়েছেন। এখন সবাই হা-হুতাশ করছেন। টাকা ফিরে পেতে গ্রাহকেরা মঙ্গলবার দল বেঁধে সড়কে নেমে আসেন।

বুধবার দুপুরে চাঁনপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাল্টিপারপাস কার্যালয়টিতে তালা ঝুলছে। গ্রাহকেরা এসে শুধু প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শাহ আলমের খোঁজ করছেন। কার্যালয় লাগোয়া ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অর্ধশত গ্রাহক কার্যালয় তালাবদ্ধ দেখে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। এ সময় অনেকে কান্নাকাটি করেন। কেউ কেউ আল্লাহর কাছে শাহ আলমের বিচার দাবি করেন।

ভুক্তভোগী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার চাঁনপুর, রাজনগর, তুলাকান্দি, নবীপুরা ও পৌর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রামশংকপুর ও মহেশপুর এলাকায় মাল্টিপারপাসের বেশি গ্রাহক। চাঁনপুর বাজারে চাঁনপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের কার্যালয় চালু করা হয় ২০১০ সালের মাঝামাঝি। চেয়ারম্যান শাহ আলমের বাড়ি চাঁনপুর মধ্যপাড়ায়। লাখে দুই হাজার টাকা লাভ দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে আমানত নিতেন। বিনিময়ে দিতেন ব্যাংকের চেক। আবার চড়া সুদে মানুষকে ঋণও দিতেন। মাঠ থেকে ঋণের টাকা সংগ্রহের জন্য ছিলেন আটজন কর্মী। শাহ আলমকে লোকজন বিশ্বাস করতেন। এ জন্য অনেকে জমি বিক্রি করে লাভের আশায় তাঁর কাছে টাকা জমা রাখতেন। কেউ কেউ আবার ব্যাংকে টাকা না রেখে শাহ আলমের কাছে রাখতেন। কয়েক শ মানুষের প্রায় ছয় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন শাহ আলম ও তাঁর সহযোগীরা।

চাঁনপুর বাজারে মাল্টিপারপাসের মাঠকর্মী রাকিব মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়। তাঁর কাছে জানতে চাইলে রাকিব জানান, ‘আমি কয়েক মাস চাকরি করেছি, এখন আর করি না। কয়েক শ মানুষ বিশেষ করে নারীরা শাহ আলমকে বিশ্বাস করে তাঁর কাছে অর্থ জমা রেখেছিলেন বলে জানান তিনি। মুঠোফোন নম্বর বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে শাহ আলমের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাঁনপুর মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নিবন্ধন বাতিল করা হবে জানান ভৈরব উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রুবাইয়া বেগম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন বলেন, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত যেকোনো একজন ফৌজদারি ধারায় মামলা করতে পারেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।