দেশে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবার মূল্য বর্তমানের তুলনায় ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি আগামী এপ্রিল মাস থেকেই কার্যকর হতে পারে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
রোববার বিকেলে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসলাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শনিবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এ বিষয়ে আরও জানান, ইন্টারনেট সেবার দাম কমানোর সিদ্ধান্তটি প্রথমে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে কার্যকর হবে। ফলে সব ধরনের ব্যান্ডউইথের মূল্য কমে আসবে। পাশাপাশি ব্যাকবোন লেভেলে মোবাইল অপারেটরদের জন্য DWDM (ডেন্স ওয়েভ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং) সুবিধা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে টেলিকম কোম্পানিগুলোর ট্রান্সমিশন খরচ প্রায় ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পাবে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকারের লক্ষ্য হলো জনগণকে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা। এ জন্য টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা করে ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৬ এর সঙ্গে যুক্ত হবে, যা দেশের ব্যান্ডউইথ সক্ষমতাকে আরও প্রসারিত করবে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে, তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ও কলরেট কমানোর দাবি ওঠে, যা বাস্তবায়নের পথে এক ধাপ এগোল সরকার।