সোমবার
২১শে এপ্রিল, ২০২৫
৮ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, চলছে সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ

Fresh News রিপোর্ট
মার্চ ২৫, ২০২৫
১:২০ অপরাহ্ণ

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন-সংলগ্ন শাপলার বিল-তেইশের ছিলা এলাকার আগুন প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে আগুন পুরোপুরি নিভে যাওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম।

বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবকরা ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন, কোথাও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বা আগুনের চিহ্ন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নিচ থেকে পর্যবেক্ষণের পর বন বিভাগের ড্রোন উড়ানো হবে, যাতে আগুনের লুকায়িত কোনো উৎস ধরা পড়ে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পরই দাপ্তরিকভাবে আগুন নির্বাপণের ঘোষণা দেওয়া হবে।

রাতভর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা কার্যালয়ের কর্মীরা। সিনিয়র স্টেশন অফিসার সমা আরিফুল হক জানান, জোয়ার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতেই পানি ছিটানোর কাজ শুরু হয় এবং রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে। তিনি বলেন, খুব ভালোভাবে পুরো বনাঞ্চল পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, কোথাও আগুনের অস্তিত্ব দেখা যায়নি।

ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর রায় জানান, রাতভর সবাই মিলে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জোয়ারের সময় আবারও পাম্প চালিয়ে পানি ছেটানো হয় এবং কোনো স্থানে আগুনের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে নিশ্চিত হতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন হবে।

এর আগে, গত শনিবার ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে আগুন লাগে, যা রোববার সকালে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর বন বিভাগের ড্রোনে কয়েক কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলা-শাপলার বিলে নতুন করে আগুনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে বন বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবক, ভিটিআরটি ও সিপিজি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফায়ার লাইন তৈরি করেন।

ভোলা নদীতে পানি সংকট এবং ভাটার কারণে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ সম্ভব হয়নি। ফলে সোমবার রাতভর আগুন নেভানোর কাজ অব্যাহত থাকে। এখন চলছে তল্লাশির শেষ ধাপ।

যদিও বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানানো হয়নি, তবে স্থানীয়দের মতে শাপলার বিল ও কলমতেজী মিলিয়ে অন্তত ১০ একর বনভূমি আগুনে পুড়ে গেছে।