ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পারলেই গণতন্ত্রের বিজয় সূচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রংপুরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় এনসিপির রংপুরের সংগঠক আলমগীর নয়ন, আরিফুলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আখতার হোসেন নিজে রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাইরে রেখে নির্বাচন কতটা অংশগ্রহণমূলক হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার হোসেন বলেন, “এই দুই দলের যোগসাজশে বিগত তিনটি নির্বাচন ছিল প্রহসন। তারা মিলেই দেশের মানুষকে গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত করেছে, গণআন্দোলনে রক্তপাত ঘটিয়েছে, এবং ফ্যাসিবাদের ছায়া জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “২০২৪ সালের গণহত্যা, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, মোদি বিরোধী আন্দোলনের সময়কার হত্যা এবং সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থানে রক্তাক্ত ঘটনায় আওয়ামী লীগ এবং তাদের মিত্ররা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যারা জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, তাদের রাজনীতির অধিকার থাকতে পারে না।”
আখতার হোসেনের দাবি, “যদি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না আসে, সেটাই হবে গণতন্ত্রের জন্য আশার আলো। কারণ, কোনো গণতন্ত্রকামী জাতি ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতির সুযোগ দেয় না। বরং এই শক্তিকে নিষিদ্ধ করতে হবে, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।”
দলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিয়ে কিছু মতবিরোধের ইঙ্গিত থাকলেও আখতার বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধ। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় নাগরিক পার্টি যেভাবে শপথ নিয়েছে, সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি জানান, এনসিপি ইতিমধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে সাংগঠনিক কার্যক্রম ভাগ করে জেলায় জেলায় কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আখতার হোসেনের এই সফর শেষে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে কাউনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সমর্থকরা।