চট্টগ্রাম নগরীতে প্রাইভেটকার ধাওয়া করে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যা করার ঘটনায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের ঘনিষ্ঠ অনুসারী বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) নগরীর চান্দগাঁও ও ফটিকছড়িতে অভিযান চালিয়ে বেলাল (২৭) ও মানিক (২৪) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানায়, এই দুজনই মোটরসাইকেলে করে অস্ত্র হাতে প্রাইভেটকারটি ধাওয়া করেছিল এবং হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেলালের বাড়ি বান্দরবানে এবং মানিকের বাড়ি ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরে। বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের চিহ্নিত করা হয় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৯ মার্চ গভীর রাতে নগরীর রাজাখালী থেকে শুরু হওয়া ধাওয়ার পর চকবাজার থানার চন্দনপুরায় গিয়ে প্রাইভেটকারটিকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এতে নিহত হন বখতেয়ার হোসেন মানিক ও আব্দুল্লাহ নামের দুই ব্যক্তি। আহত হন আরও দুইজন—রবিন ও হৃদয়। আহত রবিন পরে জানান, কারে ছিলেন আরও কয়েকজন, যার মধ্যে সরোয়ার হোসেন বাবলা ছিলেন প্রধান টার্গেট। তার বিরুদ্ধেই হামলা চালানো হয় বলে ধারণা।
এ হামলার পেছনে ছিল ছোট সাজ্জাদ ও সরোয়ারের দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিরোধ। গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা থেকে সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই বিরোধ নতুন মাত্রা নেয়। রবিনের দাবি, সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে সরোয়ারকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়।
জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদ, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না, মো. হাছান, মোবারক হোসেন ইমন, খোরশেদ, রায়হান ও বোরহানকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনায় সন্ত্রাসীরা এই গুলি চালায় এবং মানিকসহ দুজনকে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।