বাংলাদেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে রংপুর চেম্বার ভবনে এনসিপি সংগঠকদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। এই দুটি সংগঠনের মাধ্যমেই গঠিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি, যা একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি জনগণের অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই তিনটি প্ল্যাটফর্ম স্বতন্ত্র হলেও একে অপরের পরিপূরক। তাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো—স্বাধীনতা, সুশাসন এবং ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠন।
থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, “এই বৈঠক আশার আলো জাগালেও শুধু কথায় কাজ হবে না। শেখ হাসিনার বিচার এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার আন্তর্জাতিকভাবে নিশ্চিত করতে সরকারকে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচারই এখন সময়ের দাবি। বিচারের কাঠগড়ায় শুধু একজন নয়, বরং পুরো আওয়ামী লীগকে দাঁড় করাতে হবে। এ সময় তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে গণপরিষদ নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
ড. ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “প্রফেসর ইউনূস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো যোগ্যতা এবং দক্ষতা তাঁর রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টির কোনো ভবিষ্যৎ থাকত না। রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীর কাছেও হেরে যেতেন। আগামী দিনে রংপুরে তাদের ঘাঁটি টিকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ফারজানা দিনাসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।