বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ৩৭ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা ঘিরে শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জরুরি বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি পর্যালোচনায় এই বৈঠকে অংশ নেবেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টা, বাণিজ্য ও অর্থনীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রভাব, সম্ভাব্য পাল্টা কৌশল এবং কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে গত বুধবার ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, বাংলাদেশসহ একাধিক দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে শুল্ক আরোপ করছে। বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে এটি ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের ওপর ২৯, ভারতের ওপর ২৬, চীনের ওপর ৩৪ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর যথাক্রমে ৪৯ ও ৪৬ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন শুল্কনীতি ইতোমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে এবং বিভিন্ন দেশ পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কহার বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ও অন্যান্য রপ্তানি পণ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, যা দেশের রপ্তানি আয় ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং একটি সুপরিকল্পিত কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক কৌশল নির্ধারণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।