চালকের বেপরোয়া গতির কারণেই ফরিদপুরে বাস উল্টে খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ সাতজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত যাত্রী ও পুলিশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরের নগরকান্দা থেকে ছেড়ে আসা ফারাবী পরিবহনের একটি বাস ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মহিলারোড এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাতজন যাত্রী, আহত হন আরও অন্তত ৩২ জন। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল।
আহত যাত্রী বাধন সরকার বলেন, “একটা লোকাল বাস যে এত গতিতে চলতে পারে তা কল্পনাও করিনি। চালক গতি না কমিয়ে উল্টো আমাদের প্রতিবাদের পরও অবজ্ঞা করেছেন। শুধু গতির কারণেই আজ এই বিপর্যয়।”
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরকান্দার তালমা মোড় পর্যন্ত বাসটি স্বাভাবিক গতিতে চললেও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ওঠার পর বাসের গতি ৮০ কিলোমিটারের বেশি হয়ে যায়। ওভারটেক করতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, ধাক্কা লাগে রাস্তায় থাকা একটি পিলারে, এরপর বাসটি সোজা গিয়ে পড়ে রাস্তার পাশে গভীর খাদে।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “চালকের বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। দ্রুত গতিতে অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে পিলারে ধাক্কা লেগে বাসটি খাদে পড়ে যায়।”
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা জানান, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিআরটিএ’র মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।