বিশ্বের ৭৫টিরও বেশি দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই তালিকায় বাংলাদেশের নামও অন্তর্ভুক্ত, যা দেশটির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। তবে বুধবার দেওয়া ঘোষণায় তিনি জানিয়ে দেন, চীন বাদে অন্যসব দেশের ওপর এই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ সাময়িকভাবে স্বস্তি পেয়েছে।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। তিনি লেখেন, “শুল্ক কার্যকর ৯০ দিন স্থগিত করার আমাদের অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ মিস্টার প্রেসিডেন্ট। আপনার বাণিজ্য এজেন্ডাকে সহায়তা করতে আমরা আপনার প্রশাসনের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখব।”
একই সময়ে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক আরও বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, চীন বিশ্ববাজারকে অসম্মান করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশকে শোষণ করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন, যা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়েছে।
ট্রাম্প নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ লেখেন, “একটা সময়ে, আশা করি দ্রুত চীন বুঝতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশকে ‘শোষণ’ করার দিন শেষ হয়েছে।”
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ও সহযোগিতা করায় যেসব দেশ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়নি, তাদের জন্যই এই ৯০ দিনের শুল্ক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এই দেশগুলো আমার শক্তিশালী পরামর্শের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তাদের জন্য আমি শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছি এবং পারস্পরিক শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। বিষয়টিতে মনোযোগ দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।”