মঙ্গলবার
২২শে এপ্রিল, ২০২৫
৯ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সৌর প্যানেলে বিপুল শুল্ক বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Fresh News রিপোর্ট
এপ্রিল ২২, ২০২৫
৮:৩৬ অপরাহ্ণ

কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের কোম্পানির সৌর প্যানেলের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে কম্বোডিয়ার কিছু কোম্পানির জন্য—যেখানে শুল্কের হার দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ পর্যন্ত।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত এই শুল্ক আরোপের পেছনে রয়েছে দেশটির সৌর প্যানেল উৎপাদনকারীদের অভিযোগ। তারা বলছে, চীনা কোম্পানিগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কারখানা গড়ে সেখান থেকে সস্তা প্যানেল যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে মার্কিন বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, এই শুল্ক আরোপের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন নেবে। প্রস্তাবিত শুল্কগুলো পাল্টাপাল্টি ও ডাম্পিং বিরোধী নীতির আওতায় ধার্য করা হচ্ছে।

এই উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত চীনা কোম্পানি জিনকো সোলারের পণ্য পাবে ৪১ শতাংশ শুল্ক। থাইল্যান্ডে ত্রিনা সোলারের পণ্যে বসছে ৩৭৫ শতাংশ শুল্ক। আর কম্বোডিয়ার কিছু কোম্পানি তদন্তে সহযোগিতা না করায় পেতে যাচ্ছে ৩ হাজার ৫২১ শতাংশ শুল্ক—যা নজিরবিহীন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে প্রথমবার চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ শুরু হয়। তখন চীনা কোম্পানিগুলো শুল্ক এড়াতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থানান্তর করে। ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ১২ বিলিয়ন ডলারের সৌর প্যানেল আমদানি করেছে এই চারটি দেশ থেকে।

নতুন এই শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় নির্মাতারা লাভবান হলেও, সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সৌর প্যানেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে বড় একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া সফর করেন এবং এই দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাণিজ্যিক গুণ্ডামি’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ঠিক এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের এই কড়া শুল্ক আরোপের ঘোষণা এল।