বুধবার
৭ই মে, ২০২৫
২৪শে বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ডাক্তার সংকটে কামারখন্দ হাসপাতাল

Fresh News রিপোর্ট
মে ৬, ২০২৫
১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ফ্রেশ নিউজ :

মাত্র তিনজন চিকিৎসকের কাঁধে পুরো হাসপাতালের দায়িত্ব এমনই চিত্র সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। প্রতিদিন এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে ১২০ থেকে ১৩০ জন রোগী। অথচ মোট ১১জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র তিনজন।

এতে তীব্র চিকিৎসা সংকটে পড়ছেন রোগীরা। বাধ্য হয়ে কেউ ফিরছেন বাড়ি, কেউ ছুটছেন জেলা সদরের হাসপাতাল বা ব্যয়বহুল বেসরকারি ক্লিনিকে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের আউটডোরে লম্বা লাইন। রোগীরা এসেছেন সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, গর্ভাবস্থা বা শিশু অসুস্থতা নিয়ে। অধিকাংশই নিম্নআয়ের মানুষ, যাদের একমাত্র ভরসা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

স্থানীয়রা জানান, আগে এখানে সিজার হতো। গরিবদের অনেক উপকার হতো। এখন তা বন্ধ। সরকার যেন দ্রুত এই সেবা চালু করে। যাতে আমাদের মতো গরীবদের উপকার হয়। এছাড়া ডাক্তার ঠিকমতো পাওয়া যায় না। যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও অপারেশন হয় না। দেখার কেউ নেই।

কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা যায়, গাইনি, শিশু, সার্জারি, মেডিসিন, এনেস্থেসিয়া বিভাগসহ মোট ১১টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন চিকিৎসক।

জুন মাসে আরও দুইজন বদলি হয়ে যাবেন, ডিসেম্বরের দিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর আরও কয়েকজন যাবেন অবসরে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদেও রয়েছে ৮২টি কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছে ৪২ জন। বাকি ৪০ জনের পদও শূন্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, তিনজন দিয়ে ইনডোর, আউটডোর ও ইমার্জেন্সি চালানো অত্যন্ত কষ্টকর। প্রায়ই ১২ ঘণ্টা টানা কাজ করতে হয়।

কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো. মমিন উদ্দিন জানান, ১১ জন ডাক্তারের বিপরীতে আছে মাত্র ৩ জন। ৩ জন চিকিৎসকের পক্ষে এত রোগী দেখা কঠিন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে শুধু কামারখন্দ নয় এ সংকট সারাদেশেই আছে।